সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে জিয়াসহ ক্ষমতাসীনরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হত্যা জেল জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন বলে আজ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বেই দল এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেল ৫টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি আপনাদের কাছে আমাকে পাঠিয়েছিলেন মনোনয়ন দিয়ে। আপনারা সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। তাই ১০ বছর সিটির বাইরে থাকলেও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সিসিক মেয়রের চেয়ারটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। রক্ত ঘাম ত্যাগ করে দলের প্রতিটি নেতাকর্মী আমার জন্য, নৌকার জন্য কাজ করেছেন। এজন্য আমি আওয়ামী লীগের জন্মদিনে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘নেতৃবৃন্দ যারা এখানে আছেন, আমি কোনদিন তাদের ঋণ শোধ করতে পারবো না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কারণেই আমি জয় পেয়েছি। সংগঠনকে ভালোবাসেন বলে মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমার জন্য, নৌকার জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাই মিলে সিলেটবাসীর উন্নয়ন নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।’
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দেওয়ান জয়নাল আবেদীন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যে দলের ভিত্তি দিয়েছেন, সেই দলকে এখনো বহন করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একাধিকবার ঘাতকের বুলেট-বোমার সামনে নিজের জীবনকে বিপন্ন করতে হয়েছে, তবুও দলের রক্ষাকবচ হয়ে থেকেছেন তিনি। একারণেই বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আবেগের নাম।
বক্তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতায়। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছেন। দিয়েছেন শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্লান। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন উন্নত দেশের অভিমুখে ধাবমান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, ড. আহমদ আল কবির, এডভোকেট শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, আইন সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. মবশ্বির আলী, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, আবদাল মিয়া, এম কে শাফি চৌধুরী এলিম, মো. আব্দুল বারী, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, মো. জাকির হোসেন, এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লেবু , গোলাপ মিয়া, ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস প্রমুখ।
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মলগ থেকে অদ্যাবধি যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরবময় অর্জন ও সফলতা তাঁদের স্মরণে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভার পূর্বে সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।