সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী লীগ এখন লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে। বিএনপির চলমান আন্দোলনে তারা জনগনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। বিএনপির কার্যালয়ে যে নগ্ন হামলা চালিয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেশের মানুষ দেখেছে পুলিশ সাদা ব্যাগে করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ককটেল রেখে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। জাতীয় নেতাদের অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই স্বৈরাচারী সরকার মানুষের লাশ নিয়ে খেলা করছে। এদের হাতে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। আর কত মায়ের বুক খালি করে তারা ক্ষমতা আকড়ে রাখবে?
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলা, পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুল হোসেন হত্যা ও বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তাই বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এই স্বৈরাচারী সরকার জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। যতই নির্যাতন, নিপীড়ন আসুক না কেন, বিএনপির গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত না করে, দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা না করে বিএনপির কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না।
বিক্ষোভ মিছিলটি দক্ষিণ সুরমার রেলগেট থেকে শুরু হয়ে কিন ব্রিজের সম্মুখে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, মো. শাহাব উদ্দিন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, আবুল কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, জসিম উদ্দিন, এ কে এম তারেক কালাম, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ইকবাল বাহার চৌধুরী, আব্দুল লতিফ খান, অ্যাডভোকেট কামাল আহমদ, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, ময়নুল হক, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, বাদশা আহমদ, আখতার হোসেন রাজু, ফরিদ উদ্দিন, অর্জুন ঘোষ, বুরহান উদ্দিন, আত্তর আলী, শাহ মাহমুদ আলী, আকবর আলী, মনিরুল ইসলাম তুরণ, ফয়জুল ইসলাম পীর, লোকমান আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল মালেক, জাহেদ আহমদ, জসিম উদ্দিন, ফয়জুল ইসলাম পীর, অ্যাডভোকেট ওয়াবদুর রহমান ফাহমী, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, শামীম হেলালী, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, সামছুর রহমান শামীম, আল-মামুন, আলতাফ হোসেন সুমন, দেলোয়ার হোসেন দিনার, মাসরুর রাসেল, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, সোহেল ইবনে রাজা, রায়হান এইচ খান, ডা. নাজিম উদ্দিন, রায়হানুল হক রায়হান, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ মামুন হীরা, আহাদ চৌধুরী শামীম, পাবেল রহমান, শাহিন আলম জয়, মাসুক আহমদ, রিয়াজ উদ্দিন, সামছুর রহমান সোজা, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রাজ, আজমল হোসেন অপু, এড. জাবেদ আহমদ, জাবের আহমদ, ইমাম জহির, হাসান মাহমুদ বাবু প্রমুখ।