দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর বাজার অস্থির। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থায় ফেঞ্চুগঞ্জে একদিনের ব্যতিক্রমী বাজার চালু করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। বাজার দরের অর্ধেক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০টি পণ্য মানুষের হাতে তুলে দেন উপজেলার ৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে আয়োজন করা হয় এ বাজারের। একজন ক্রেতা ১৪০ টাকা কেজি দরের ডাল ৭০ টাকায়, ১২০ টাকা দরের চিনি ৫০ টাকায়, ১৯০ টাকা লিটারের তেল ৮০ টাকায়, ৪৫ টাকা দরের পেঁয়াজ ২০ টাকায়, ৯০ টাকা দরের ছোলা ৪০ টাকায়, ২০০ টাকা দরের খেজুর ১০০ টাকায়, ২৫ টাকা দরের আলু ১০ টাকা করে মোট ১০টি পণ্য বাজারের অর্ধেক দামে কেনেন ক্রেতারা।
অর্ধেক দামে পণ্য কিনতে আসা খিলপাড়া গ্রামের তানভীর হোসেন বলেন, খাদ্যসামগ্রীর দাম অর্ধেক হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সস্তায় কিনতে পারছি। এক সপ্তাহের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
কটালপুর এলাকার বৃদ্ধ নাজিম আলী বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। সেজন্য অর্ধেক দামে জিনিস কিনতে এসেছি। যে টাকা রোজগার করি, সেই টাকা দিয়ে বাজারে দু-চার পদ জিনিসপত্র কিনতে গেলে হিমশিম খেতে হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু বলেন, অনেক মধ্য ও নিম্নআয়ের লোকজন কারো কাছ থেকে ত্রাণ নিতে চান না। লাজ-লজ্জার ভয়ে লোকজন কারো কাছে হাত পাতেন না। সেজন্য আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর মাহে রমজান ও ঈদের সময় অর্ধেক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমার ইউনিয়নের ১ হাজার ১৫৮ জন মানুষের মধ্যে অর্ধেক দামে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা হয়েছে।