সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সদরগড় এলাকায় ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ বাকি পাথর উত্তোলন রোধে ব্লাক হেড দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে সদর থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সুরমা নদীর শাখা ধোপাজান চলতি নদীর প্রবেশ মুখে এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে পুলিশ।
ধোপাজান চলতি নদীতে হঠাৎ করেই অবৈধ নৌ চলাচল বেড়ে যায়। পরে এক পর্যায়ে একটি অসাধু সিন্ডিকেট তৈরি হয় বালু পাথর উত্তোলনের জন্য। আর এই সিন্ডিকেটই ইজারাবিহীন ধোপাজান নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার চালিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করে বালি পাথর উত্তোলন করে চুরি করে বিক্রি করে আসছিল।
এ সকল নৌকা যাতে করে ধোপাজান নদীতে প্রবেশ না করতে পারে সে জন্যই মূলত ব্লাক হেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে অবৈধ বালি পাথরের নৌকা ধোপাজান নদীতে প্রবেশ করতে পারবে না। একই সাথে ভিতর থেকেও কেনও নৌকা বাইরে যেতে পারবে না।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘আমি এ জেলায় যোগদান অল্প কিছু দিন হয়েছে। আসার পর পূজাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততা ছিল। বিগত কিছু দিন জেলা প্রশাসন একটি বাঁশের বেড়া দিয়েছেন। কিন্তু সেটি বড় বড় ব্লাকহেডের ধাক্কায় ভেঙে গেছে। আমরা এখন এই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি, নৌকা দিয়ে নৌকা আটকাবো।
তিনি আরও বলেন, তাই আমাদের অভিযানে যে নৌকা আটক করেছি মূলত সেই নৌকা দিয়েই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দিয়েছি। এই এলাকার লোকজন চলাচলের জন্য সামান্য পথ রাখা হয়েছে। এই পথে কেউ নৌকা বের করতে চাইলে পুলিশ তাকে সাথে সাথে আটক করবে। আমরা যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছি এখন আর কোনও নৌকা পালিয়ে যেতে পারবে না, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধরতে সক্ষম হব। আমাদের ব্যস্ততা এখন কিছুটা কম তাই আমরা এখন আরও পুলিশ মোতায়েন করব এখানে। আমরা অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি, এদেরকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’