অবশেষে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)-এর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ১৩ থেকে ১৬ জুলাই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে অঞ্চলটিতে এটিই হবে তার প্রথম সফর।
প্রথমে ইসরাইল এবং সেখান থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে যাবেন বাইডেন। সর্বশেষ সৌদি আরবের জেদ্দায় যাবেন। সেখানে ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য বাইডেনের এ সফরের তারিখ ঘোষণার আগ থেকেই এর সমালোচনা করে আসছেন। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযোগের মুখে থাকা সৌদি যুবরাজকে একজন খুনি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছেন তারা। তারা বলছেন, একজন খুনির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাত মেলানো সমীচিন হবে না।
ক্ষমতায় আসার পর বাইডেন নিজেও খাশোগি হত্যায় অভিযুক্ত এমবিএস-কে নিয়ে নিজের অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন। তবে গত মার্চে সৌদি যুবরাজ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনও কিছু নিয়ে তাকে ভুল বুঝলে তার কিছু যায় আসে না।
বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদক দেশ সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সহযোগী। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে রিয়াদের মানবাধিকার রেকর্ড, বিশেষ করে ইয়েমেন যুদ্ধ এবং ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। এক পর্যায়ে সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, রিয়াদ হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ কমাতে পারে। দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে দ্য আটলান্টিক জানতে যায় বাইডেন তাকে ভুল বুঝছেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘সহজভাবে, আমি পরোয়া করি না।’ বাইডেনের আমেরিকার স্বার্থের দিকে নজর দেওয়া উচিত মন্তব্য করে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমেরিকায় আপনাদের জ্ঞান দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই। একই বিষয়টি বিপরীতও দিকেও সত্যি।’