শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাঈলকে অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আমেনা পারভীন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। অভিযোগপত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে নওরিন জামান, অনিক সাজিদ আহসান ও ইমু আনজুমসহ ৬ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রটি অফিসে জমা দিয়েছেন নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, শিক্ষার্থীরা অফিসে এসে একটি চিঠি দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এ অধ্যাপক অফিসের বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীরা কি বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন তা এখনো জানা যায় নি বলে জানান তিনি।
তাদের অভিযোগ, গত চার মাস ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাঈলকে অসংখ্যবার কল দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ফোন ধরেন না। তবে কল না ধরলেও পরবর্তীতে তিনি সেই কলও ব্যাক করার প্রয়োজন বোধ করেন না। কয়েকবার সহকারী প্রক্টরদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিংয়ের সময় নেয়া হলেও তিনি বারবার হয় মিটিং পিছিয়ে দিয়েছেন কিংবা উধাও হয়ে গেছেন। প্রক্টরের দেয়া সময় অনুযায়ী অফিসে দেখা করতে গেলে সেখানেও তাকে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের জন্যও তাকে যথাসময়ে পাওয়া যায় না, যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীনও হচ্ছে।
অভিযোগপত্র শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রক্টরের দায়িত্ব ছাড়াও তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে দায়িত্বের ভারে নুইয়ে পড়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ না করার পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্ব পালন না করে অন্যান্য দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। ফলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে দায়িত্বের ভারে নুয়ে পড়ায় তার উপর প্রক্টরের দায়িত্বের ব্যাতীত অন্যান্য দায়িত্বের বোঝা কমিয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে শিক্ষার্থীরা জরুরি প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বা তার নাম্বারে ফোন দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি কেন ফোন রিসিভ করেন না অথবা অফিসে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে খুঁজে পায় না কেন সে ব্যাপারে জবাব চেয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইলকে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।