বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর যখন বিএনপি উদ্বোধন করে, তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সারাদেশে তিনদিনের হরতাল ডেকেছিলেন। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো হরতাল বা কোনো বিবৃতি দেয়নি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে সকল দুর্নীতি আর অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছে সরকার।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরীর সহযোগিতায় শাল্লা উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি মাথা ঘামাচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যদি ফেরাশতাও হয় এবং নির্বাচনের কমিশনের ৫ জন যদি বিএনপিপন্থীও হয়, তারপরও মানুষ নিজের ভোটটা দিতে পারবে কি না সেটা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাইকার প্রস্তাবে পদ্মা সেতুর বাজেট ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এখন ১০ হাজার কোটি টাকা থেকে পদ্মা সেতুর খরচটা হিসাব করেন। সুতরাং বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি, নাদের আহমদ, আনসার উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নূরুল, সদস্য হুমায়ূন কবির তালুকদার প্রমুখ।
পরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ধল গ্রামে আরও ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।