শেষ পর্ন্ত জ্বালানির অভাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পুরো গাজা উপত্যকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গাজায় অবরোধ আরোপ এবং একমাত্র বিদ্যুকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সেখানকার বাসিন্দাদের জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে জেনারেটর পরিচালনার জন্যও জ্বালানির দরকার; যা অবরোধের কারণে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
গাজার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান জালাল ইসমাইল বুধবার (১১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্থানীয় দুপুর ২টায় গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে জ্বালানি শিগগিরই ফুরিয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে, গত শনিবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। এরপর উপত্যকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাদ্য, পণ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত গাজায় অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেন, কর্তৃপক্ষ হামাস-অধিকৃত গাজায় ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে।
এর আগে, ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে হামাস ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল এবং মিসর গাজার ওপর বিভিন্ন ধরনের অবরোধ আরোপ করে।
দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় রয়েছে হামাস। এই গোষ্ঠী শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরের দিকে আচমকা রকেট নিক্ষেপ শুরু করে ইসরায়েলে। পরে গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। পঞ্চম দিনে পৌঁছানো উভয়পক্ষের চলমান লড়াইয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।