বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরণের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনুমতি ছাড়া গণমিছিল করার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দেখা যায়, জাতীয় প্রেস ক্লাব মোড়, পল্টন মোড়, গুলিস্তান এলাকার প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে গেলে দেখা যায়, মসজিদের প্রধান ফটকের চারদিকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সকাল থেকে গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এলাকার সকল অলিগলি ও ফুটপাতে কোনও হকারকে বসতে দিচ্ছে না পুলিশ।
এছাড়াও দুপুর ১২টা থেকে মসজিদে প্রবেশ করা প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশি করতে দেখা গেছে পুলিশকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলা হলেও এর কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া আজকে অনুমতি ছাড়া জামায়াত গণমিছিল করার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, যেসব দলের অনুমতি আছে তারাই শুধু গণমিছিল করতে পারবেন। অন্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।
ওই এলাকায় দায়িত্বরত ডিএমপির একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গণমিছিলের নামে কোনও ধরনের সহিংসতা বা দাঙ্গা-হাঙামা যেন না হয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। শান্তিপূর্ণ মিছিলে কোনরকম বাধা দেওয়া হবে না।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের আয়োজন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। তবে একইদিনে রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় দলটি থেকে বিএনপিকে ওইদিন গণমিছিল না করার অনুরোধ জানায় দলের নেতাকর্মীরা। পরে প্রশাসনের সম্মতিক্রমে গণমিছিলের জন্য ৩০ ডিসেম্বরকে বেছে নেয় বিএনপি।