কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ৯ মৌজার মুরব্বীয়ান ও সর্বস্তরের লোকজনদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বীরদল এন.এম একাডেমী মিলনায়তনে এন এম একাডেমীর সাবেক প্রধান শিক্ষক জার উল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে বীরদল ৯ মৌজার মুরব্বীয়ানরা বলেন, যুগ যুগ ধরে চলে আসা ৯ মৌজার ঐতিহ্যগত ঐক্য-শান্তি-সম্প্রীতির বিনষ্ট করতে এলাকার কতিপয় ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী চক্র অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তারা কানাইঘাটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ বীরদল ৯ মৌজার প্রধান অভিভাবক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সময়ে অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে এলাকার সর্বস্তরের লোকজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বীরদল ৯ মৌজার এজমালী সম্পত্তি প্রকাশ্যে নিলাম দেয়া হয়। সেই নিলামের টাকা সুষ্ঠুভাবে ৯ মৌজার ৪৮জন ভূমি মালিকদের মধ্যে বণ্টন হয়ে আসছে। অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার মামুন আহমদ বা অন্য কেউ একটি টাকাও কখনও তসরুফ করেননি। অথচ দুষ্কৃতিকারীরা নানা ধরনের মিথ্যা গুজব, বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের ১ শতক জমিও এজমালী সম্পত্তিতে নেই।
তারা আরো বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করছে তাদের মধ্যে এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর দুই পুত্র হোসেন আহমদ ও ফয়জুল হাসান, আলমগীর হোসেন, এম জেড খালেদ, জাহিদুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম যাদের বিরুদ্ধে এজমাল সম্পত্তির হাওরের কচুরিপানা পরিষ্কারের ১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং বীরদল খালের বাঁধ কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে বীরদল হাওরের মৎস্য খামারের মালিক আব্দুল হাই সহ খামারিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি তাদের দাবীকৃত টাকা মৎস্য খামারিরা না দেওয়ার কারণে বিগত ১৬ তারিখ রাত ২টায় আলমগীর হোসেন, ফয়জুল হাসান সহ ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসীরা বিগত বন্যা চলাকালে বীরদল খালের পাহারাদারকে বেঁধে খালের বাঁধ কেটে ফেলার চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন ও থানা পুলিশ এসে খালের বাঁধ কেটে ফেলা থেকে রক্ষা করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ১৯ জনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে দুষ্কৃতিকারীরা সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচার বন্ধ না করা হলে বীরদল ৯ মৌজার সর্বস্তরের লোকজন এলাকার ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার হোসেন আহমদ, মাস্টার মামুন আহমদ, মুহিবুর রহমান, নছিব আলী, আহমদ হোসেন, ফয়েজ উদ্দিন, আব্দুন নুর, তহশিলদার শফিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নিপেন্দ্র দাস, শফিক আহমদ, শফিকুর রহমান, আব্দুল মতিন, ইউপি সদস্য সাহেদ আহমদ, ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য এবাদুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, মুহিবুর রহমান, সেলিম আহমদ, আবুল কালাম, মামুন আহমদ, মারুফ আহমদ সহ আরো অনেকে।