হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বোরো ফসল আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষক শ্রমিকরা। পৌষ মাসের শুরু থেকেই দেখার হাওর, খাই হাওর, জামখলার হাওর, পাখিমারা হাওরসহ উপজেলার সকল হাওরের আবাদি জমিতে বোরো ফসল চাষাবাদের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
এদিকে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ শত ৭৪ কোটি টাকারও বেশি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও অধিক দামে বীজ কিনে চারা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাওরের যেসব এলাকায় পানি কমে রোপনের উপযুক্ত হয়েছে সেখানেই একাধিক শ্রমিকদের নিয়ে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। তবে বীজ ছাড়াও ডিজেল, শ্রমিকের বাড়তি মজুরী, সারসহ সবকিছুর দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
তবে উপজেলার মোট ৫ হাজার কৃষকের মধ্যে ১০ হাজার কেজি হাইব্রিড জাতের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব। তিনি জানান, কৃষকদের সহযোগিতায় কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ২২ হাজার ৬১২ হেক্টর জমিতে বোরো ফসল আবাদ হবে। এরইমধ্যে ৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের চারা ও ১৩ হাজার ৯৯৯ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের চাষ হবে। এবং বাকি ১০৩ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের চারা আবাদ করা হবে।
তবে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফসল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আহসান হাবিব।
তিনি বলেন, ‘যথাসময়ের মধ্যে বোরো ফসল ঘরে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। কৃষকদের মাঝে ১০ হাজার কেজি হাইব্রিড বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।’ এ সময় মাছের লোভে বিল এবং জলাশয়ের পানি আটকিয়ে ফসল চাষে বিলম্ব করার অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।