সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধের শঙ্কা, প্রবাসীদের প্রতিবাদ

সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা নেই। তবে টিকেটিং সিস্টেম বন্ধ রয়েছে আগামী মে মাস থেকে। এ অবস্থায় প্রবাসীদের ধারণা এপ্রিলের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট। এ নিয়ে উত্তর যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ লক্ষ্যে এই রুটে ফ্লাইট চালু করার জন্য প্রতিবাদ সভা এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।  প্রবাস বাংলা ইউকের আয়োজনে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ প্রেসক্লাবের সভাপতি শিহাব আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাস বাংলা টিভির সিলেটের ব্যুরো প্রধান শফিকুল ইসলাম৷ এছাড়াও এই কর্মসূচিতে পবিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘আমরা একটি অস্পষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলতে দাঁড়িয়েছি। বিমান কর্তৃপক্ষ এই রুটে বিমান ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেননি। এক শ্রেণির দালাল যারা আমাদের দেশের ভালো চায় না, তারাই বুকিংয়ের জন্য যাত্রীদের হয়রানি করছে। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সুগভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি৷ প্রবাসীরা কেন এই রুটের টিকেট পাচ্ছেন না? এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অন্তত সাড়ে তিন কোটি মানুষের এই ফ্লাইটের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ তবে কেন এই রুটে ফ্লাইট বন্ধের পায়তারা চলছে, এ বিষয়ে আপনারা প্রশ্ন তুলুন৷’

তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে অনেক বয়স্ক প্রবাসীরা আসা-যাওয়া করে থাকেন। তাদের সাথে এমন দুর্ব্যবহার কাম্য নয়। আমরা বিস্মিত হই, বিমান বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা বসে আছে। প্রবাস বাংলা ইউকে এর প্রতিবাদ করায় আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে কথা বলব। সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা কথা বললে এই ষড়যন্ত্র বা কূটকৌশল বাস্তবায়ন হবে না৷ এটা সিলেটবাসী মেনে নিবে না।’

উল্লেখ্য, সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটটি উত্তর যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু তাদের যাতায়াতের মাধ্যম নয়, বরং দেশের সাথে তাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংযোগের অন্যতম সেতুবন্ধন। প্রবাসীরা আশা করছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যার সমাধান করবে এবং রুটটি চালু রাখার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।