ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চার লেন থেকে ছয় লেন এর উন্নতিকরণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ মালিকপক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গতকাল ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন ক্ষতিগ্রস্থরা মালিকগণ।

আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চার লেন থেকে ছয় লেন উন্নতীকরণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত মহাসড়কের আশপাশে অধিকন্ত মূল্যবান জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মানুষের জীবন ধারণের একমাত্র বসতবাড়ি, বিল্ডিং, মার্কেট, দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ-পালা রয়েছে অধিগ্রহণের আওতায়। কিন্তু অধিগ্রহণে জমির মালিকদের স্বল্পমূল্য প্রদান করা হবে বলে তারা বিশ^স্থসূত্রে জানতে পেরেছেন। অধিগ্রহণে ন্যায্য মূল্য না পেলে পূনর্বাসনের বিষয়টি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হবেন মালিকগণ। যার ফলে উপযুক্ত মূল্য পাওয়ার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলার অধিগ্রহণকৃত প্রায় ১০জন ক্ষতিগ্রস্থ মালিক স্বাক্ষরিত এক লিখিত আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে।

আবেদনে তারা আরো উল্লেখ করেন, জায়গার মৌজার রেইট অনুসারে ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া বন্ধ করে ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের চিন্তা বিবেচনায় রেখে ক্ষতিপূরণের টাকা নির্ধারণের দাবি জানান, এছাড়াও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে মনগড়া পরিমাপ গ্রহণ না করে জমি, ঘরবাড়ি, মার্কেট, দোকান, বিল্ডিং এর স্ব স্ব মালিকদের উপস্থিতিতে পূণরায় পরিমাপ করতঃ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করার দাবি জানান। এমনকি জায়গা, গাছ ও ঘরবাড়ি, দোকানপাট বা বিল্ডিং এর ক্ষতিপূরণের মূল্য ৬গুণ বর্ধিত হারে ক্ষতিপূরণের মূল্য নির্ধারণ এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের চেকের উপর ভ্যাট/আয়কর চার্জ মওক‚ফ করার দাবি জানিয়েছের মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকগণ বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এবং সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, ভ‚মি মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।