সিলেটের বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর দা’র কোপে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা রেকর্ড করছে না পুলিশ। এ নিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
গত শুক্রবার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চন্দরপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মাসুদ আহমদ চৌধুরী সাদী সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্দরপুর গ্রামের মৃত এনাম আনোয়ার চৌধুরীর পরিবার পুকুরে মাছ ধরতে জাল ফেললে প্রতিবেশী মৃত আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল কাইয়ুমের পুকুরের মালিকানা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে আবদুল কাইয়ুম তার ঘর থেকে দা নিয়ে এসে মাসুদ আহমদ চৌধুরী সাদীকে কোপ দেন। উপর্যুপরি দা’য়ের কোপে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাদী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এ ব্যাপারে আহত সাদীর মা সাজিয়া খানম চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশী আবদুল কাইয়ুম বিনা কারণে আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে একের পর আঘাত করে। এলাকার লোকজন ওই সময় উপস্থিত না থাকলে আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতাম না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আবদুল কাইয়ুম এলাকার সবার সাথে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিকবার অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কেউ বিচার পায়নি। সে তার আপন চাচিকে পর্যন্ত নির্যাতন করেছে, শারীরিকভাবে আঘাত করেছে। থানা পুলিশে গিয়েও কোন কাজ হয় না।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) সোবেদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীকে দা দিয়ে কোপানোর ঘটনার একটি অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছে। আমি প্রাথমিক তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ব্যস্ততার কারণে গত দুইদিন মামলা রেকর্ড করা হয়নি। আজ মামলাটি রেকর্ড করা হবে।