বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের উপরই নির্ভর করছে মানুষ তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করবে। জনগন আশা করছে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা করার দরকার সেটি করবেন। যত দ্রুত সম্ভব জনগনের অধিকার আদায়ের সুযোগ দেবেন। জনগনের মালিকানা জনগন যাতে ফেরত পায় সে পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব তারা কী ধরণের শক্তিশালী, মেরুদন্ড কতটুকু শক্ত। নির্বাচন কমিশন কী করবে আগামীদিনই বলে দেবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বিকেলে তিনি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
এসময় তিনি বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনও নাকি ষড়যন্ত্রমূলক ছিল। ২০১৪ ছিল ভোটারবিহীন। ২০১৮ ছিল নৈশ ভোটের নির্বাচন। আর ২০২৪ হয়েছে আমি আর ডেমির নির্বাচন। জনগন আসল নির্বাচন চায়। যেখানে জনগন তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। আমরা আশা করবো প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের সদস্যগণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা করা দরকার সব কিছুই করবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমরা বার বার উদ্যোগ নিলেও তথাকথিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে একটি কাঙ্খিত কাউন্সিল এবং সম্মেলন করতে পারিনি। আজ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে সম্মেলন করছি। এর মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে বলে আমি মনে করি। নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আমরাও উচ্ছ্বাসিত।
কাউন্সিলে ৫টি পদের বিপরীতে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে ৫৬৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।