বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২২ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্বঘোষিত চার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরো ১৮ সদস্যকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
গতরাতে (২১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠনটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নবঘোষিত নির্বাহী কমিটিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কমিটির ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়ে যে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে থাকা ব্যক্তিরা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। আগে এই চার পদে সংগঠনটির চার সমন্বয়নের নাম ঘোষণা করা হয়েছিলো।
তারা হলেন আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
নবঘোষিত ১৮ সদস্য হিসেবে সংযুক্ত হয়েছেন মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের উপর সরকারের নিষ্পেষণ ও হত্যাযজ্ঞের কারণে এ আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ও শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।
আন্দোলনের শুরুতে ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের একটি সমন্বয়ক টিম গঠন করে সংগঠনটি যা ৩ আগস্টে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। সরকার পতনের পর ২২ অক্টোবর আগের সমন্বয়ক টিম বাতিল ঘোষণা করে চার সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।