প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, হাওরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে শিক্ষক ও কর্মকতা সংকট থাকবে না। হাওরাঞ্চলের সকল শিশুরা যাতে স্কুলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি মিলনায়তনে ফিমেইল একাডেমি ও গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদের আয়োজনে হাওরাঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমি হাওরাঞ্চলের সন্তান। এই এলাকায় আমি লেখাপড়া করেছি, আমি জানি এখনকার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কী কী সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়।
হাওরাঞ্চলের জন্য আলাদা শিক্ষা নীতিমালার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এখানকার একেকটি গ্রাম একেকটি দ্বীপের মত। বিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষকদের আবাসিক ব্যবস্থা করতে হবে। রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা সংকট, সব সমস্যা আমার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
হাওরপাড় থেকে অনেক মেধাবীর জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবমুখী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে হাওরাঞ্চলের শিশুদের মেধা বিকাশে কাজ করবে সরকার।
প্রাথমিকের পাঠ্য বইয়ে তেমন কোন পরিবর্তন আসবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যথাসময়েই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে।
ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দিরাই প্রেসক্লাব সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক ড. মো. আতাউল গনি, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান খোন্দকার।
এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ১১টা থেকে তাড়ল, রামপুরসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।