বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ‘নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ। দেশের সব জিনিসপত্রের দাম আঁকাশছোয়া সে দিকে নজর দিতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসন শেষে এখন মুক্ত বাতাসের স্বাদ নিতে পারছে সাধারণ জনগণ। শহীদ জিয়ার চেতনাকে বুকে লালন করেই বিএনপি নেতাকর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে। কোনভাবেই আওয়ামী দোসররা যেন আর মাথা চাড়া দিতে না পারে সেদিকে অর্ন্তবর্তী সরকার কে দৃষ্টি দিতে হবে।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সিলেট মহানগরের ১০নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত ঘাসিটুলা মোকামবাজারে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন- ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটসহ সকল সমস্যা সমাধান করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রয়োজন। বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বিভক্ত করেছে। ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সংসদ তৈরি করতে চায়। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত এটি।’
১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ছাব্বির আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মূর্শেদ আহমদ মুকুল, রেজাউল করিম আলো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ।
এ সময় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদ্রীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, মহানগর বিএনপির সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলী আমজাদ, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন শামীম, সহ-সমাজ সেবা সম্পাদক শামীম আহমদ লোকমান, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক সেলিম আহমদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।