গোয়াইনঘাটে ছাত্রদল নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন

সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক লিটনের মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করে তার মুক্তির দাবিতে গোয়াইনঘাটে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও ডৌবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিনহাজ শামসীর পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক লিটন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর স্বীকার হয়েছেন। তখন আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললে দেশপ্রেমীক আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে দেশদ্রোহীতার আখ্যা দিয়ে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করার অনেক নজির রয়েছে।একইভাবে লিটনও আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসায় মিথ্যা মামলার শিকার।

বক্তারা আরও বলেন, লিটন সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদী ও ন্যায়পরায়ন একজন মানুষ ছিলেন, লিটনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একাধিক রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসায় লিটনকে সাজানো মামলায় হিরোইনসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত লিটনকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। ফরমায়েসি সেই রায় স্থগিত করে নিঃশ্বর্ত মুক্তি দিয়ে লিটনকে পুনরায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

এসময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিলাল উদ্দিন, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুবদল নেতা নাজমুল ইমলাম রিপন, মধ্য জাফলং ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলার মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক শতাধিক  মানুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের লাখেরপাড় গ্রামের আব্দুস শহিদ মিয়ার ছেলে আন্নু মালিক লিটন (লম্বা লিটন) কে ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১ কেজি হিরোইনসহ লিটনসহ আরও দুই জনকে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত ২০২৩ সালের ৫ই অক্টোবর আন্নু মালিক লিটনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন।