সোমবার শেষ মুহূর্তে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প সমদূরবর্তী রাজ্যগুলোতে কোমর বেঁধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবচেয়ে কঠিন এবং অস্থির মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ দিনে অবশ্যই পেনসিলভানিয়াকে জয় করতে হবে।
এরই মধ্যে রিপাবলিকান ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে চাঞ্চল্যকর প্রত্যাবর্তনের জন্য ‘নিরঙ্কুশ’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, ডেমোক্র্যাট দলীয় হ্যারিস আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে জরিপগুলো বিভিন্ন রকমের পরিসংখ্যান দেখাচ্ছেন এবং সাতটি সুইং রাজ্যের ফলাফলের সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টান টান উত্তেজনা নিয়ে এখন নাটকীয়ভাবে চুড়ান্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ট্রাম্পকে দুই দফা হত্যা প্রচেষ্টা এবং হ্যারিস সবচেয়ে ভয়ঙ্করভাবে যুদ্ধের মাঠে নেমেছেন।
হ্যারিস পুরো দিনটি দোদুল্যমান পেনসিলভানিয়ার রাজ্যে প্রচারণায় চালাবেন। তার সবচেয়ে বড় শহর ফিলাডেলফিয়াতে গায়িকা লেডি গাগার সমন্বয়ে একটি বিশাল সমাবেশ শেষ হবে। আর ট্রাম্প উত্তর ক্যারোলিনা, পেনসিলভানিয়া এবং তারপর মিশিগান যাবেন।
পেনসিলভানিয়া ওভাল অফিস দখল করার সম্ভাবনা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তার একটি চিহ্ন হিসেবে ট্রাম্প এবং হ্যারিস এমনকি শিল্প শহর পিটসবার্গে দ্বৈত সমাবেশও করবেন।
পেনসিলভানিয়া হল ইউএস ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেমের অধীনে একক বৃহত্তম সুইং স্টেট। রাজ্যটির জনসংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।
উভয় পক্ষই বলেছে তারা বিপুল সংখ্যাক ভোটাদের উৎসাহিত করেছেন। ইতোমধ্যেই ৭ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। যা ছিল ২০২০ সালে অনুষ্টিত নির্বাচনের মোট ভোটের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।