সুনামগঞ্জে আইফোন ও টাকার জন্য হত্যা করা হয় মা-ছেলেকে

সুনামগঞ্জে আইফোন ও টাকার জন্য মা-ছেলেকে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মা-ছেলে হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকারির বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার ফলে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকায় তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

হত্যাকারি শিশুটি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবান নগরের আলহেরা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

চুরি করার আগে প্রায় ১৫ দিন আগে পৌর শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঘাতক শিশুটি ও তার বন্ধু মিলে নিহত মিনহাজের আইফোন চুরি ও তাদের ঘরে থাকা টাকা পয়সা লুটের পরিকল্পনা করে। তারা মিনহাজকে আগে থেকেই চিনত। একই সাথে বিভিন্ন সময়ে সে মিনহাজের সাথে চলাফেরা করার সুবাদে তার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কেও জানত ঘাতকারা।

মিনহাজের প্রবাসী আত্মীয় স্বজনরা তাকে এই আইফোনটি উপহার দেন। কিন্তু তার এই ব্যবহৃত ফোনটি কিভাবে চুরি করা যায় এটা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ চিন্তা করছিল। তারপর এই চিন্তা অনুযায়ী গত (২৯ অক্টোবর) মঙ্গলবার রাতেই সুযোগ বুঝে বাসার ভিতর লুকিয়ে থেকে যায় ঘাতক। পরে ভোর রাতে আইফোন, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার সময় মানুষের নড়াচড়া পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় নিহত মিনহাজের।

এ সময় তাকে বাধা দেয়ায় ঘরে থাকা মাছ কাটার বটি দিয়ে কুপিয়ে মিনহাজ (২০) ও তার মাতা ফরিদা বেগমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনার মূল রহস্য উদ্ধার করে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আফম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৫ দিন আগে পৌর শহরের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঘাতক ও তার বন্ধু মিলে নিহত মিনহাজের আইফোন চুরি ও তাদের ঘরে থাকা টাকা পয়সা লুটের পরিকল্পনা করে। মূলত আইফোন ও টাকার জন্য এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।