জাফলংয়ের বালু-পাথর লুট: পরিবেশের দুই মামলায় আসামী ১১৪

বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (পরিবেশ) ও গোয়াইনঘাট থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির দুই নেতাসহ মোট ১১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষিত জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে লুটপাটের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের পর এবার দুটি মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (পরিবেশ) ও গোয়াইনঘাট থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির দুই নেতাসহ মোট ১১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোঃ বদরুল হুদা বাদী হয়ে ৯২ জনকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তার আগেরদিন একই দপ্তরের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে সিলেটের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (পরিবেশ) এ মামলা দায়ের করেন।

উভয় মামলায় বিএনপির সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান ও একই ইউনিটের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে বলে মামলার নথি সূত্রে জানা যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি জাফলং নদীর দুইপাড়ের ৫০০ মিটার এলাকা ধরে মোট ১৪.৯৫ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

গেজেট অনুযায়ী প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় যে কোন ধরণের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড যেমন পরিবেশ দূষণ ও পাথর-বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।

তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে শত শত লোক জাফলং থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন শুরু করে।

দীর্ঘদিন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ, ভূমি কার্যালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

মামলার নথিতে উল্লেখ, এ অভিযানের সময় নদীর পাড়ে বিক্রির জন্য রাখা ৬৬ হাজার ১৫০ বর্গফুট বালু ও ৬ হাজার ৯২৫ বর্গফুট পাথর জব্দ করা হয়।

একই সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বালু-পাথর লুটপাটে বিএনপির সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান জড়িত আছেন মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ১৪ অক্টোবর অভিযুক্ত বিএনপি নেতার পদ স্থগিত করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।