মহাঅষ্টমীতে শান্তিগঞ্জে পূজার্থীদের ভীড়, বৃষ্টির বাগড়া

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দে মেতে ওঠেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সারাদেশের ন্যায় পূজামণ্ডপগুলোতে জমকালো উৎসবের সঙ্গে দেবী দূর্গার পূজা করছেন তারা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর দিনে উপজেলার প্রায় সব পূজা মণ্ডপেই বেশ ভিড় দেখা যায়। ছুটির দিন হওয়ায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পূজার আনন্দ উপভোগে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবাই। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজিবীদেরও পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

তবে পূজার আনন্দে বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। সন্ধ্যায় থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে আসা দর্শনার্থীদের। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতে মণ্ডপের রাস্তাঘাটে কাঁদা জমে থাকতে দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মণ্ডপ পরিদর্শনে আসা পূজার্থী ও দর্শনার্থীদের। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের সবগুলো মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ বছর শান্তিগঞ্জ উপজেলার ২১ টি মণ্ডপে সার্বজনীন দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। নির্বিঘ্নে দূর্গোৎসব উদযাপন করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন পূজা মণ্ডপের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি।

পূর্বপাড়া অনির্বাণ সংঘ সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের সভাপতি দিপক দে বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের মত অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দেবী দূর্গার আরাধনা করে যাচ্ছি। আজ মহাঅষ্টমীতে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।’

ত্রিনয়নী সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের দায়িত্বশীল অপু পাল বলেন, ‘আমাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী আজ। অত্যন্ত আনন্দের সাথে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন চলছে। মহাঅষ্টমীর দিনে মা দূর্গার কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করেন।’

সনাতন সংঘ পূজা মণ্ডপের দায়িত্বশীল ইউপি সদস্য রঞ্জিত সূত্রধর বলেন, ‘প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও শান্তিগঞ্জে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন চলছে। এই দূর্গাপূজার মাধ্যমে আমরা অশুরের বিনাশ এবং বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করছি।’

এর আগে, ২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এরপর বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করা হয়। গত ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দূর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী শেষে শুক্রবার ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও শনিবার ১২ অক্টোবর মহানবমী। এরপর রবিবার ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।