সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব) বলেছেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলীর হত্যাকারী অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাতারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে, সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কাজে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর জন্যই বিএনপি এবং অন্যান্য সমমনা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে খুন ও তাদেরকে গুরুতর জখম করা হচ্ছে।’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে দুস্কৃতিকারিরা এস এম জিলানীর গাড়ীবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদার, লিটন মিয়াকে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে দুস্কৃতিকারিরা এসএম জিলানীর গাড়ীবহরে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদার ও লিটন মিয়াকে খুন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত বিষয়টি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোন বিকল্প নেই।’
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফছর খানের পরিচালনায় মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়বকদের মধ্যে মাসুম ইবনে রাজ্জাক রুমেল, আব্দুল হাসিম জাকারিয়া, রুনু আহমদ, সৈয়দ আমির আলী, উসমান হারুন পনির, আজিজ খান সজিব, সদস্যদের মধ্যে তছির আলী, মিসবাহ আহমদ জেহিন, জাকারিয়া মো. সালা উদ্দিন সাকের, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, আবির হাসান মুহিন, দুলাল আহমদ, মেহেদি হাসান সপু, শফিকুল ইসলাম, রায়হান উদ্দিন রাজু, ইকবাল হোসেন, ইবনে জাহান তানভীর, গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক মাসুম, হোসেন খান ইমাদ, সাফওয়ান আলম কোরেশি, সোবহান আজাদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।-বিজ্ঞপ্তি