বিশ দিন পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয় তাঁকে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসামানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেয়। তিনি হাসপাতালে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিচারপতি মানিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারায় মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’
এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি মানিককে হাসপাতাল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় যখন যেখানে শুনানির জন্য চাওয়া হবে তখন সেখানে পাঠানো হবে।
কারাগার সূত্র জানায়, ঢাকার আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক হত্যার ঘটনায় করা মামলায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শুনানির দিন গত ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছিলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেদিন তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড তাকে ছাড়পত্র দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বিজিবি। পরদিন ২৪ আগস্ট সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আদালতে প্রবেশের সময় বিক্ষোব্দ জনতা তাকে মারধর ও ডিম-জুতা নিক্ষেপ করেন। পরে আদালতে আদেশ সেখান থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। মারধরের কারণে তার একটি অণ্ডকোষ ফেটে গিয়েছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।