গ্যাস-বিদ্যুৎ গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সদস্য সচিব জননেতা মকসুদ হোসেন বলেছেন, ‘কয়েক দিন ধরে ভাদ্র মাসের প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে সিলেট। এরই মধ্যে অসহনীয় বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জনজীবনে দুর্বিষহ অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে বাসাবাড়িতে পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। লোডশেডিং এর তীব্রতায় সিলেটের লক্ষ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। গত কয়েক দিন ধরে বেলা বাড়ার সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর এ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও সাধারণ মানুষের কর্মতৎপরতা খুবই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সিলেটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সিলেটবাসীকে না দিয়ে জাতীয় গ্রিডে নেয়াটা এক ধরণের বৈষম্য। বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে সিলেট। সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ ও বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে দেশের অর্থনীতি যারা সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে, তাদেরকে কষ্ট দেয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত! সিস্টেম লস ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ দাবী উঠেছে।’
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটের ছাত্র-জনতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও বিপ্লবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পুণ্যভূমি সিলেটের কোন প্রতিনিধি নেই। অবিলম্বে সিলেটে থেকে একজন প্রতিনিধি নেয়া হলে রহমত ও বরকত আসবে বলে সিলেটবাসী মনে করেন।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাড়তি বিল সহ প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক ভোগান্তি দূর করে সিলেটের বিদ্যুতের বৈষম্য নিরসনপূর্বক অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।