সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে মাদ্রাসার ফান্ডের টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতির লোকজনের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২০ জন সহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে গুরুতর আহত জুয়েল মিয়া (৩৬), সুমন মিয়া (৩২), আব্দুল আউয়াল (৪০), রঞ্জু মিয়া (৩৮), আলমগীর (২৫), মুজিবুর রহমান (৬০), ফারদীন মিয়া (২৫), সাবেল মিয়া (২৫), সাহাবুদ্দিন (৪০), আনোয়ার হোসেন (৪২), রোজিনা বেগম (৪০) ও রাবেয়া বেগমকে (৪৫) সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের দিরাই উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রামের সরকারি দাখিল মাদ্রাসার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল মালিক। সভাপতি পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর মাদ্রাসা ফান্ডের টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য মনু মিয়া, তছর মিয়া ও সুফি মিয়ার লোকজনের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে শনিবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসায় বৈঠকে বসে উভয়পক্ষ। বৈঠক চলাকালীন এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি থেকে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়হান মিয়া জানান, ‘আহতরা ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, গুরুতর আহত ১২জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এখানে গুলি বের করার ব্যবস্থা নেই।’
সংঘর্ষের বিষয়ে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘মারামারির খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।’