গাছ বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে যা দিয়ে আমরা বেঁচে থাকি। গাছ থেকে মানুষসহ সকল প্রাণী, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করি, এর মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেঁচে থাকা। গাছ কর্তন রোধ করে, ঝড়-ঝঞ্ছা থেকে আমাদের বাঁচায়, সর্বোপরি একটি গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে একটি বাস্তুতন্ত্র। হাওর রক্ষায় আমরা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার এর উদ্যোগে গাছের চারা রোপন কর্মসূচিতে বক্তারা একথা বলেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) লাখাই উপজেলার বুল্লাবাজার সংলগ্ন মধ্যসিংহগ্রাম সড়কে ও আলালপুর কবরস্থানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরিবেশ সংগঠক, কবি তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সদস্য সচিব, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল। অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিবেশ সংগঠক, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আবদাল, লাখাই প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী নোয়াজ, বুল্লা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আশিক আহমেদ রাজীব।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সংগঠক ও লাখাই প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. বাহার উদ্দিন, প্রকৃতি প্রেমিক ডা. ফরাসউদ্দিন, লাখাই প্রেসক্লাব এর সিনিয়র সহসভাপতি এম এ ওয়াহেদ, গাছ মামা হিসেবে পরিচিত মো. রায়হান মিয়া,পরিবেশকর্মী মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন, বুল্লাবাজার ব্যকস এর সভাপতি আশিক আহমেদ রাজিব, লাখাই যুব ফোরামের আহবায়ক আকিব শাহরিয়ার, শিক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ, হিলফুল ফুজুল উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী সোনাই, লাখাই প্রেসক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল আহমেদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মহসিন সাদেক, ইয়াকুব হাসান অন্তর, কামরুল হাসান সুজন, দৌলত রবিদাস, সুভাস রবিদাস, কামাল রবিদাস প্রমুখ।
খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল তাপদাহের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গরমের দিন গাছের আশপাশে ছায়া থাকে এবং শীতল আবহাওয়া পাওয়া। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে প্রধান হচ্ছে গাছ আমাদের বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এছাড়া সবুজায়ন আমাদের প্রাণীকুল, সামাজিক সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক।’
প্রধান অতিথি শরীফ জামিল বলেন, ‘হাওরে ব্যাপকভাবে জনবসতি গড়ে উঠেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য এবং এই সমস্ত জনপদের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে হাওরে গাছ লাগানো এবং হাওরের গাছ সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা স্থানীয় এলাকাবাসীদের গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’ তিনি গ্রামে গ্রামে আরো অনেক গাছ গড়ে উঠুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ ও এতে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় গাছ মামা হিসেবে পরিচিত মো. রায়হান মিয়া ও লাখাই উপজেলার মহিউদ্দিন আহমদ রিপনকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর ‘সবুজ সাথী ‘ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গাছ রোপণে উৎসাহ প্রদানকারী সংস্থা জব ফর হিউম্যান রিসোর্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে দেড় শতাধিক ফলদ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা হয়েছে এ কর্মসূচিতে।