বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে হবিগঞ্জে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তাদের মধ্যে বানিয়াচংয়ে সবচেয়ে বেশি ৯ জন মানুষ প্রাণ হারান। এছাড়া হবিগঞ্জ সদরে ২ জন, নবীগঞ্জে ১ জন, লাখাইয়ে ৩ জন এবং মাধবপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এসব ঘটনায় কয়েকশ ছাত্রজনতা আহত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুরে বানিয়াচং উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এসময় গুলিতে নিহত হন ৮ জন। তাছাড়া সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারা যান ১ জন সাংবাদিকও।
নিহতরা হলেন- উপজেলা সদরের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আনাস, শ্রমিক মোজাক্কির মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক নয়ন মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক তোফাজ্জল মিয়া, মাদ্রাসাছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, আকিনুর মিয়া, হাসান মিয়া এবং সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জি।
হবিগঞ্জ শহরে ২ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থীদের মিছিলে অংশ নেওয়া শ্রমিক মোস্তাক মিয়া। ৪ আগস্ট ফের শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুঁড়লে মারা যান রিপন শীল নামে এক সেলুন কর্মচারী।
মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম শামীম ২০ জুলাই ঢাকার সাভারে আমিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভাড়া বাসায় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তিনি সেখানে ফেরি করে শরবত বিক্রি করতেন।
লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসাছাত্র নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ ৫ আগস্ট ঢাকার আদাবর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। একই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তেঘরিয়া গ্রামের মামুন আহমেদ রাফসান কুমিল্লা শহরে ৫ আগস্ট মারা যান।
নবীগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামের আজমত আলী গত ৫ আগস্ট ঢাকার মুগদা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।