মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ২১ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার ডলুছড়া এলাকার গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট এবং টংথাই রিসোর্টে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামের মীর মোহাম্মদ আবদুর রউফ, একই থানার সুরভীপাড়ার আয়শা বেগম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার জয়লালচান গ্রামের জাবেদ মিয়া ও উলুকান্দির ফয়সাল মিয়া, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ধাপা ইদরাপুল গ্রামের নুসরাত জাহান ইশা, নরসিংদীর শিবপুর থানার কুমরাদি গ্রামের আফছানা, পাবনার সুজানগর থানার সুমি আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার কুলাশিলের সানজিদা আক্তার, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কোয়াচপুরের স্বপন সূত্রধর, ঢাকার হাজারীবাগ থানার হাজারিবাগের ফাহিম ইসলাম, একই থানার গনকটলি লেনের তানভীর আহমদ ও এনায়েতগঞ্জের সঞ্জয় রায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোড়াগাঁওয়ের রাহাত সিকদার, মৌলভীবাজার সদরের আমতৈল গ্রামের আবদুল্লাহ, কুলাউড়ার আকিলপুরের আবদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ইসরাত জাহান মিতু, রাঙ্গামাটির লংগদুর জান্নাত আক্তার, চট্টগ্রামের চকরিয়া থানার তাসনিম আক্তার, বরিশালের কাউনিয়া থানার রাত্রি আক্তার ও পাখি আক্তার এবং খাগড়াছড়ি জেলার ফটিকছড়ি থানার তাসফিয়া।
জানা যায়, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে গ্রিন প্যালেস টি রিসোর্ট ও টংথাই রিসোর্টের মালিকরা এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এই ব্যবসা চালানো হতো-এমন অভিযোগ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুটি রিসোর্টে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। এসময় ১১ জন নারী ও ১০ জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, নারায়নগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে ধরার জন্য রিসোর্ট দুটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে শামীম ওসমানকে পাওয়া না গেলেও রিসোর্ট দুটি থেকে ২১ নারী-পুরুষকে আটক হয়।
স্থানীয়রা জানান, টংথাই রিসোর্টের মূল দায়িত্বে ডলুছড়া ত্রিপুরা পল্লীর ধনন্জয় দেববর্মা ও বিষামনি গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমঙ্গল শহরের ই জোন আইটির পরিচালক সুমন দেববর্মা এবং গ্রীন প্যালেস টি রিসোর্টের মালিক রব মিয়া। দীর্ঘদিন থেকে এই দুইটি রিসোর্টে তারা এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এতদিন তারা ভয়ে কেউ মুখ খুলেননি। এমন অভিযানে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষণ রায় জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।