ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের মধ্যে সিলেটেই সবচেয়ে বেশি তীব্র ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দাবি সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা কথা বলেন।
এদেশে কোন মাইনোরোটি কিংবা মেজোরিটি ইস্যু থাকবে না উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশী এই একটা পরিচয়েই আমরা থাকতে চাই। আমাদের এই সম্প্রীতির মধ্যে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে যাবেন না। ইসকনের ষড়যন্ত্র নিয়েও কথা বলেন সমন্বয়করা।’
এসময় তারা সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী, প্রকৌশলীসহ নগর ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করার অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আজবাহার আলী শেখ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকতার দ্রুত অপসারণ এবং শাস্তি দাবি করা হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আ.লীগের প্রতি বিল্পবের কথা শুনা যাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এরকম কিছু যদি তারা করার সাহস করে এটা হবে তাদের জন্য আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। কেননা তারা নিজেরাই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অতীতে প্রশাসন নিয়েও যারা ছাত্রজনতার সামনে টিকতে পারেনি তারা প্রতিবিল্পব করবে এটা হাস্যকর।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, ‘খুনি হাসিনার প্রশাসন সাংবাদিকদের গলা টিপে ধরেছিল। কেউ স্বাধীনভাবে সত্যিটা তুলে ধরতে পারেননি। এই সরকার আপনাদের স্বাধীনভাবে বস্তুনিষ্ঠ লেখালেখির স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। আমরা যদি কখনও কোন ভুল করি, আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে লিখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল-গালিব, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন শিশির সহ অন্যান্য সমন্বয়ক এবং সহ- সমন্বয়করা।