দীর্ঘদিন পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন খ্যাতিমান অভিনেত্রী শাওন । শাওনের বিনোদন জগতে শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
গুণী নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ নাটক এবং সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। একসময় ভালোবেসে ঘর বাঁধেন হুমায়ূন আহমেদ ও শাওন। বিয়ের পর সংসার ও সন্তান সামলে অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন শাওন। তবে ২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। মাঝে মাঝে গানে পাওয়া গেলেও অভিনয়ে আড়ালেই থেকেছেন। ১৭ বছরের বিরতি ভেঙে বড় পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী। অভিনয় করছেন ফাখরুল আরেফীন খানের ‘নীল জোছনা’য়।
নীল জোছনা সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে শাওন জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর পর সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমার শুটিং করেছিলেন। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে।
নতুন সিনেমা নিয়ে শাওন বলেন, প্যারাসাইকোলজি বিষয় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে নীল জোছনা। এতে আমাকে শহুরে এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। দীর্ঘদিন পর সিনেমার শুটিং করব। তবে প্রযোজক ও পরিচালকের পলিসিগত কারণে এখনই সিনেমা কিংবা আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।
সিনেমায় ১৭ বছর পর ফিরলেও ১৩ বছর পর অভিনয় করছেন শাওন। তিনি ২০১১ সালে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ‘স্বর্ণকলস’ নাটকে। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আজ (৫ জুলাই) ঢাকায় নীল জোছনা সিনেমায় নিজের অংশের শুটিংয়ে অংশ নেবেন শাওন। সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিবিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে। শাওন ছাড়াও এ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, পার্থ বড়ুয়া, এসএম নাঈম প্রমুখ। আরও আছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম।
নীল জোছনা নির্মাতা ফাখরুল আরেফীনের চতুর্থ সিনেমা। এর আগে তিনি বানিয়েছেন ‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ ও ‘জেকে ১৯৭১’। নতুন সিনেমা নিয়ে ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, নীল জোছনা সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ছয় বছর আগে। আমার জানামতে, প্যারাসাইকোলজি নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিই সিনেমা বানানোর।