বন্যাকবলিত সিলেটের জন্য সুখবর নেই

সিলেটের চলমান তৃতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন ভাল খবর নেই। বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়ায় কষ্ট বাড়ছে বানভাসিদের।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল -সন্ধ্যা নদী দুটির পানি কোথাও এক সেন্টিমিন্টার কমলেও অন্য পয়েন্টে বেড়ে গেছে । তাছাড়া লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকলেও কমেনি সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি। নদীর পানি না কমায় বন্যার শঙ্কা কাটছে না সিলেটবাসীর মধ্যে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৭১ সে.মি. এবং সিলেট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৫২ সে.মি, এ নদীর শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে ৪৭, ১০৩ ও ১৫ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের অন্যান্য নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও গত দুইদিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি।

এ বিষয়ে কথা বললে সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের মধ্য দিয়ে বয়েচলা প্রায় সকল নদী পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। যেকারণে উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ও হাওরগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিচ্ছে এখানকার বন্যা পরিস্থিতি।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান জানান, এক মাসের মধ্যে ৩ বার এলাকাবাসী পানিবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন।আমাদের ঈদটাও ভাল যায়নি। মূল সড়কে হাঁটুর ওপরে পানি ভেঙে যাওয়া-আসা করতে হয়। এর থেকে পরিত্রাণ কবে পাবো কে জানে।

আজও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান, সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪.৬ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।