সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কমে আশায় আগের তুলনায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে পানিবন্ধী অবস্থা থেকে মুক্তি মিললেও বন্যার পানিতে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের অনেক বাসিন্দারা।ফলে ভাঙা সড়কের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নারী, পুরুষ, শিশুসহ সকল শ্রেণির মানুষদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এতে ভেসে ওঠেছে অধিকাংশ সড়ক। ফলে জেলা শহরের সাথে তাহিরপুরের সড়ক পথে সরাসরি যোগাযোগ সচল হয়েছে এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার সাথে সুরমা, লক্ষীপুরসহ তিন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ায় স্বস্তি ফিরলেও ভোগান্তির শেষনেই।
বন্যার পানি কমলেও চলাফেরার অসুবিধায় ভোগছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে বন্যা আক্রান্ত আশরাফ মিয়া বলেন, ‘চলতি বছরে প্রথম দফা বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি, ফসিল জমি তলিয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দফা বন্যায় সড়ক ভাঙল। কষ্ট যেন আমাদের কপালে লেখা হয়ে গেছে।’
সেরন মিয়া বলেন, বন্যা ওইলে আমরা ফানিবন্দী ওইযাই, বাড়িঘর সব ভাসাইয়া নেয়গি। সববছর যদি ইলাখান বন্যা অয়, আমরার ক্ষতি অয় তে আমরা বাঁচমো কিতা খরি।
এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মজনু মিয়া বলেন, বন্যায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি কমলেও এখনো সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে।
এদিকে যাদুকাটাসহ জেলার সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে শহর থেকে শুরু করে নিম্নাঞ্চলের বসত ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পানি আরো কমবে।