কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন শাবিসহ ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও তাঁদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবিতে দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার (৩০ জুন) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলাকালীন এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ফলে আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন শাবি শিক্ষক সমিতিসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষকেরা অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোনো কাজই করবেন না, পুরোপুরি ‘শাটডাউন’ থাকবে ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম।

আজ রবিবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। শুধু তা-ই নয়, যে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরাও কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। শিক্ষকসংশ্লিষ্ট সবকিছুই ‘শাট ডাউন’ থাকবে।’

কতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কর্মসূচি পালন করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশে ৫৩টির মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কর্মসূচি পালন করবেন। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোনোটিতে ছাত্র নেই কিংবা ক্লাস শুরু হয়নি। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকায় অস্থায়ী কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে। অর্থাৎ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম চালু আছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালন করবেন।’

সরকার থেকে কোনো আশ্বাস কিংবা কোনো কিছু বলা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘আশ্বাস তো অনেক বড় বিষয়, কোনো মাধ্যম থেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতেই আগ্রহ প্রকাশ করা হয়নি। সরকার থেকে কোনো কিছু বলবে সেই প্রতীক্ষায় সর্বাত্মক কর্মসূচির পূর্ব পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যয় পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই তা বাতিলের দাবিতে সরব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন৷ দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষিত সব কর্মসূচিতেই একাত্মতা পোষণ করে আসছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকেরা। এর মধ্যে ছিল মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, কালো ব্যাজ ধারণ, মৌন মিছিল, দুই ঘণ্টা থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতির মত কর্মসূচি।