শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পুত্রের অতর্কিত হামলা ও ছুরিকাঘাতে নোমান মাহমুদ ওরফে রুমন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নোমান ইউনিয়নের সিচনী গ্রামের হুসমত আলীর ছেলে। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য, আজিজুর রহমানের ছেলে জামিল আহমদ পায়েলও গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কের সিচনী পয়েন্টের ব্রিজের পূর্ব পাড়ে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিচনী গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া জানান, আমি ব্রিজের উপরে বসে ছিলাম। নোমান আক্তাপাড়া বাজার থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এসে ঘটনাস্থলে নামে। সেখানে গাছের সাথে তার নৌকা বাঁধা ছিলো। বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকার বাঁধন খোলার সময় দরগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার ছেলে ফাহিম আহমদ (২৭) ও নাঈম আহমদ (২৪) তাদের ১০ থেকে ১২ জন বন্ধু নিয়ে নোমানের উপর অতর্কিত হামলা করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পায়েল মেম্বারসহ আমরা সবাই দৌড়ে এগিয়ে গেলে তারা পায়েল মেম্বারকে ছুরি মেরে নৌকায় করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টায় সিচনী পয়েন্টে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার দুই ছেলে ফাহিম আহমদ ও নাঈম আহমদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় নিহত রোমান মিয়া (নোমান মাহমুদ) ও আহত জামিল আহমদ পায়েলের (প্রাক্তন মেম্বার)। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফাহিম ও নাঈম মিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করেন নিহত নোমান ও আহত পায়েলের উপর। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নোমান মাহমুদ ওরফে রুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মোক্তাদির হোসেন একজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেন, রোমান মিয়া (নোমান মাহমুদ) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমিসহ আমার ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। আমাদের নজরদারি অব্যাহত। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।