আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। সারা বছর লালনপালন করে কোরবানির পশুর হাটে গরু ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।
জগন্নাথপুর উপজেলায় এবারের ঈদুল আজহায় ছয় হাজারের বেশি গরুসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আরো কয়েক হাজার গরু আসছে এখানে। এছাড়াও সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও জগন্নাথপুর উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে আসছে দেশীয় গরু। নিজস্ব খামারে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গরু লালনপালন করে ক্রেতারা কোরবানির হাটে বিক্রয় করেন। সিলেট বিভাগের অন্যতম প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার হাট গুলো কোরবানির এই সময়ে জমজমাট থাকে। তবে আকস্মিকভাবে ঢলের পানি বেড়ে শহরের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ উপজেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটগুলোতে তুলনামূলক ক্রেতাদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গিয়েছে ।
মঙ্গলবার(১১জুন) সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার নির্ধারিত অন্যতম পশুর হাট রানীগঞ্জ বাজারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তিন সহস্রাধিক গরু ছাগল নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতার সমাগম ঘটে বাজারে, তবে বিক্রয় কম হচ্ছে বলে জানান খামারিরা।
গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের ক্রেতা সামছুল ইসলাম বলেন, এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি, বাজেট অনুযায়ী পছন্দের কোরবানির গরু কিনতে এসেছি। গরম বেশি থাকলেও বন্যার প্রভাবে লোকজন কম আসছে। আগামী দিনে উপজেলার আরও বড় বড় হাট বসবে। ঈদের আগে বেশি ক্রয় বিক্রয় হবে।
রানীগঞ্জ বাজারের ইজারাদারের পার্টনার দিদার আহমদ সুমন বলেন, রানীগঞ্জ বাজার একটি সুপরিচিত পশুর হাট, পর্যাপ্ত পরিমাণে এবারের হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ছাগল আসছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। বিক্রেতা বেশি থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় গরু গুলো বিক্রয় হচ্ছে না। আশা করি আগামী দিনে গরু বিক্রয় বেশি হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, আমরা সব সময় বাজার গুলো দেখাশুনা করতেছি। স্থানীয় খামারিদের গরু বেশি বিক্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।