ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া দেশের ১৯ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৯ জুন) সকাল ৮টায় থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা।
গত ৮ মে থেকে ধাপে ধাপে দেশের উপজেলাগুলোতে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন, যা আজ (রোববার) শেষ হচ্ছে। তবে কয়েকটি উপজেলায় মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় নির্বাচন হবে আগামী বছর।
এসব উপজেলায় ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন রয়েছেন। ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮ জন।
১৯টি উপজেলার মধ্যে শুধু একটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। বাকি সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হয় ব্যালট পেপারে। উপজেলাগুলোর ১৭৯টি কেন্দ্রে শনিবার ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়। আর রোববার ভোরে ব্যালট পেপার যায় বাকি কেন্দ্রগুলোতে।
যে ১৯ উপজেলায় ভোট হলো আজ, সেগুলো হলো- নেত্রকোনার খালিয়াজুরী; বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা। এগুলোর মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
এর আগে চার ধাপে ৪৬৬ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে৷ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
অন্যদিকে বিএনপি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও দলটির বহু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।