সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে এসে হামলা চালিয়েছে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।
আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একজন নেত্রকোনা জেলার কলমকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়া পাড়া গ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের বাড়ির পুকুরপাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বিজয়ী প্রার্থী মো. আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেনের বড় ভাই।
জানা গেছে, শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান নিজ বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এসময় বিজয়ী প্রার্থী মো. আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় রামদার কোপে সাইদুর রহমান (৬০), তাঁর ছেলে আরিফুর রহমান ঝিনুক (২৭), আজিজুর রহমান (৫৫), কামাল মিয়া (৪০), হারুণ মিয়া (২৭) সহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ৫ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো.আবদুর রাজ্জাক ভুঁইয়ার ভাতিজা আজিম মাহমুদ বলেন, আমরা কাউকে হামলা করিনি। সাইদুর রহমানের লোকজন তাঁর ভাতিজা বাছেদ ভুঁইয়ার (২৯) ওপর হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে এই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।