কোম্পানীগঞ্জে বন্যা: পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার উপরে

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ মে) সরেজমিনে কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর, কাঁঠালবাড়ি শিমুলতলা শুচ্ছগ্রাম, তেলিখাল, লামা ডিস্কিবাড়ি, নোয়াগাঁও, ফেদারগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে সাথে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ভেসে উঠছে। তবে গত কয়েক দিন পাহাড়ি ঢলের পানি যেভাবে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে সে অনুপাতে পানি কমার চিত্র নগণ্য।

কাঁঠালবাড়ি শিমুলতলা গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অনেক বাড়ি ঘরে এক থেকে দেড় ফুট পানি রয়েছে। পানিবন্দি মানুষজন খাটের উপরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না।

গুচ্ছগ্রামের ফারুক ইসলামের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ৪ বছর ও ৭ বছরের দু’টি সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে একটি খাটের উপর কোন রকম বসে আছেন। খাটের এক কোনায় মাটির চুলাতে রান্না বসিয়েছেন ফারুক ইসলামের স্ত্রী। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের বারান্দায় পানি ছিল। রাত ১২টার পর ধীরে ধীরে ঘরে মধ্যে পানি প্রবেশ করে। তারপর থেকে কয়েকবার পানি কমেছে ও বেড়েছে। তবে সরকারি কোন সহায়তা পৌঁছায়নি এ গ্রামে। শুক্রবার বিকাল ২টায় তাদের ঘরে দেড় ফুট পানি লক্ষ করা গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ জানান, কোম্পানীগঞ্জ পাহাড়ি ঢলের পানি বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ১.২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার ও সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম সহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে।