টানা বর্ষণে কমলগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা দুইদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভাসহ ৪ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শাক-সবজিসহ কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অন্যদিকে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও নদীর আরো ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকার পানিশালা, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, নারায়নপুর, শমশেরনগর এর রঘুনাথপুর, পতনঊষারের নোয়াগাঁও গ্রামসহ আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আউশ ক্ষেত, শাক-সবজিসহ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকালে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর এলাকায় ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পানিশালা এলাকার বসতবাড়ি, ডাকবাংলো, কমলগঞ্জ মডেল সরবারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে।

পৌর এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান, রহিমা খাতুনসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ধলাই নদী থেকে ড্রেন দিয়ে পানি বেরিয়ে আমাদের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা এখন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছি।

পতনঊষারের কৃষক সামছুদ্দীন, আকতার মিয়া, জলিল মিয়া বলেন, ঢল ও বন্যার পানিতে আমাদের আউশ ক্ষেত, পেঁপে, বেগুনসহ শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এগুলো পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর সহকারী প্রকৌশলী সাকিব আহমেদ ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, একটি স্থানে ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। তাছাড়া ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।