তীব্র দাবদাহের জন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যেন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক হয় সেজন্য আমরা প্রতিটি মুহূর্তে কাজ করছি। তবে তীব্র দাবদাহের জন্য নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আনিছুর বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও জনগণ স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করবে না। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা যা করা দরকার নির্বাচন কমিশন তা করতে বদ্ধ পরিকর।’
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সৈয়দ হারুন অর রশীদ, বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এ এইচ এম ইয়াসিন চৌধুরী, পিএইচডি, আনসার ও ভিডিপি সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, জেলা প্রশাসক সিলেট শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার সিলেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সিলেট মো. আবদুল হালিম খান।
সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ; সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হচ্ছে। এ ১১ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।