গরম পড়লে অনেকেরই খাবার রুচি কমতে শুরু করে। তবে ফল আর ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা থাকে সে সময়। এমন সময় অনেকেই তরমুজ খেতে পছন্দ করেন।
গলা ভেজাতে এমনকী শরীর ঠান্ডা করতে রসালো ফলটির জুড়ি নেই।
প্রশ্ন হল- তরমুজ কি গরমে শুধু শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজই করে? না, তা কিন্তু নয়। পানির অভাব পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে নানা খনিজের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে তরমুজ।
আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে তরমুজের প্রথম দেখা মিলেছিল মিশরে। কালের আবর্তে স্বাদের গুণে এই ফল ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
তরমুজে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এসব উপাদান হৃৎরোগ থেকে শুরু করে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা কাজে লাগে।
চলুন জেনে নিই, গরমে তরমুজ খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন-
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন এ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকদের মতে, এক টুকরো তরমুজ থেকে প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। আর চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন ওই পরিমাণ ভিটামিন-এ খেলেই যথেষ্ট।
শর্করার মাত্রা বজায় রাখে
তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৮০, যা এক বাটি কর্নফ্লেক্সের সমান। সে হিসেবে তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট কম। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফলের স্বাদ মিষ্টি হলেও এর গ্লাইসেমিক লোড ৫। এ কারণে এই ফল রক্তে শর্করার উপর তেমন কোনও প্রভাবই ফেলে না। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খেতে বাঁধা নেই৷
পর্যাপ্ত লাইকোপেন রয়েছে
তরমুজের ভিতরের লালচে রংয়ের উৎস হল লাইকোপেন। এটি আসলে একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপেন মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে এই যৌগ।
হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী
তরমুজে ‘সিট্রালিন’ নামক এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে যা দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
পেশির জোর বাড়ায়
তরমুজে উপস্থিত থাকা পটাশিয়াম পেশির জোর বাড়ায়। শরীরচর্চার পর এক বাটি তরমুজ খেলে পেশিশক্তি বাড়ে।