হরিণ দেখতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাবাসীর এখন আর চিড়িয়াখানা যেতে হবে না। হরিণসহ নানান প্রজাতির পশুপাখি, সবুজ শ্যামল দৃশ্য, পাখপাখালির কিচির মিচির শব্দ আর খামারবাড়ির দৃশ্যপট মুগ্ধ করবে সবার মন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক তরুণ শখের বসে নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন নানান প্র্রজাতির পশু পাখির খামার। ঈদ উপলক্ষে খামারের হরিণ আর পাখপাখালি দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ।
সরেজমিনে খামার পরিদর্শনে গিয়ে কথা হয় এই খামারের উদ্যোক্তা মোঃ তারেক ফয়ছল এর সাথে যিনি পরম যত্নে এসকল প্রাণি লালন পালন করছেন।
তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে পশুপাখির ডাক তাকে মুগ্ধ করত। বড় হওয়ার পর তার শখ থেকেই এসব পশুপাখি লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণের চিন্তা করেন কিন্তু প্রবাসে চলে যাওয়ায় এটা আর হয়ে উঠেনি। ২০১৭ সালে দেশে আসার পর প্রথমে ২টা হরিণ ও ৪ ধরণের কয়েকটি ছাগল দিয়ে শুরু করেন খামারটি।
বর্তমানে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা তার খামারে ৪টি হরিণ, চোখ ধাঁধানো বারবারি ও ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, পার্সিয়ান বিড়াল, কালিম, বাজরিগার, টিয়া, ময়না এবং লংকা ও গিরিবাজ জাতীয় কবুতর, মিশরীয় ফাউমি মুরগী ও নানান জাতের হাস, বিদেশি জার্সি, ফ্রিজিয়াম জাতীয় গরু রয়েছে।
খামারটি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রাজনগর গ্রামের মরহুম হাজি মোহাম্মদ আব্দুস সবুর মিয়ার বাড়ীতে আর ভ্রমনকারীদের জন্য থাকছে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার।
তারেক বলেন, ‘খামারটি মূলত শখের বসে আর নিজ বাড়ির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতেই করা হয়েছে। খামারে নানান ধরনের ফুল গাছ রয়েছে। খামারটি সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ বাড়িতে এসে মন খুলে আনন্দ কররে এবং ছবি তুলবে, এই বিষয়টি আমার ভালো লাগে।
সৌখিন এ খামারি বলেন, ‘খামারে আমি সার্বক্ষণিক সকল প্রাণির খোঁজ রাখি। এছাড়াও আমার ছোট ভাই আফজাল ফাহাদসহ পরিবারের সবাই খামারে খাবার দেয়াসহ সার্বিক যত্ন করেন।‘
তিনি বলেন, ‘হরিণ একটি লাভজনক প্রাণি। সবাই যাতে হরিণ লালন-পালন করতে পারে সেজন্য নীতিমালা শিথিলসহ ট্যাক্স কমানো ও উন্মুক্ত লাইসেন্স দেওয়া উচিত। আগামীতে হরিণ খামারটি আরো বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা রয়েছে।‘