কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে আড়াই মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্তকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় সিলেট নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবদুস সালাম (৪০)। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত অপর ব্যাক্তি আবদুল মনাফ (৩৮) সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু বলেন, রোববার রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি থেকে প্রায় আড়াই মাস এক তরুণীকে (১৮) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাসহ এক নারীর নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই নারী আসামির নাম রেখা বেগম (৩০)। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর বাবা রোববার রাতে বলেন, মামলা দায়েরের পর তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আসামিদের ভয়ে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা এলাকাছাড়া। তিনি অসুস্থ অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়নি। অন্যদিকে মামলার আসামিরাও পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।