বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ এ আদেশ দেন।
রুলে ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না- সংশ্লিষ্টদের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বুয়েটের ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুয়েটের হল থেকে সম্প্রতি বের করে দেয়া শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বির দায়ের করা এক রিট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী এটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে ওই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। এরপর রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে ইমতিয়াজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করাসহ ছয় দফা দাবিতে গতকাল ফের বিক্ষোভের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে গতকাল ক্যাম্পাসে তাদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। অন্যদিকে বুয়েট ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। বুয়েট ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারে তার পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।