অবশেষে সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ হতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ঘন ঘন দুর্ঘটনা রোধে, মহাসড়কে গাড়ি চলাচলে সঠিক ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে নিয়ে আনতে সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ’ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কের কাটাগাংস্থ তামাবিল হাইওয়ে থানার সম্মুখে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় কানাইঘাট সার্কেলের তত্ত্বাবধানে এই ‘বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ’ পালন শুরু হয়।
গাড়ির কাগজপত্র দেখে যাদের সঠিক রয়েছে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে ‘বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ’ পালনের উদ্বোধন করেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম, পিপিএম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের টিআই (এডমিন) রফিকুল ইসলাম মৃধা, টিআই শামসুজ্জামান, সার্জেন্ট মহিতোষ, জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তামাবিল হাইওয়ে থানা পুলিশের এটিএসআই আলমগীর সহ জৈন্তাপুর মডেল থানা, তামাবিল হাইওয়ে থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও সিলেট জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের টিম।
জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটিতে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটায় এবং মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে, লক্কর-ঝক্কর গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন চালক, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, গাড়ির কাজগপত্র সঠিক রয়েছে কিনা যাচাই করা, নাম্বার ও লাইসেন্সবিহীন সিএনজি (অটোরিক্সা), মোটরসাইকেলে অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়া মহাসড়কে চলাচলকারী অনুমোদনবিহীন ইজিবাইক, টমটম চালক ও মালিকদের প্রাথমিকভাবে মহাসড়কে তাদের এই যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করতে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তার সংস্কার কাজ খুব জরুরি।
এসময় তিনি সিলেট সড়ক বিভাগের কাছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য অনুরোধ জানান।
সিলেট জেলা পুলিশের টিআই (এডমিন) রফিকুল ইসলাম মৃধা বলেন, আজ সকাল ১০টা থেকে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে ‘বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ’ শুরু হয়েছে। ‘বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহ’ হিসেবে জৈন্তাপুর মডেল থানা, তামাবিল হাইওয়ে থানা, ট্রাফিক পুলিশ ও সিলেট জেলা ডিবি উত্তর পুলিশের সমন্বয়ে মহাসড়কটিতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে যৌথভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিশেষ ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহের ১ম দিনে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ কাগজ থাকায় যৌথভাবে মোট ১০টি গাড়ি আটক ও ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫টি পিকআপ, ৩ টি মোটরসাইকেল রয়েছে। মোটরসাইকেল চালক যাদের কাগজপত্র সহ সবকিছু সঠিক রয়েছে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে। যাদের হেলমেট নেই তাদেরকে সাথে সাথে আরএফএল কোম্পানির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে হেলমেট কিনে মোটরসাইকেল চলাচল করতে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বলা হয়েছে।