সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

‘১৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করলেও ভাঙা সম্ভব হয়নি’

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমরা ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি।

বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গে শনিবার (০২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। আমরা সে সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম, যেগুলো গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও এক প্রকার দায়মুক্তি দেওয়া।

এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী ওই ঘটনায় গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন