হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে একটি অগ্নিকাণ্ড ও একজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শতাধিক পরিবারের পুরুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে গা ডাকা দিয়েছে।
এর মধ্যে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বাড়িতে রাতের আধারে অগ্নিসংযোগ করা, গরু নিয়ে যাওয়াসহ নারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২৫ ফ্রেরুয়ারি) গভীর রাতে মৃত মহারাজ মিয়ার ছেলে আক্তার মিয়ার বসত ঘরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে ঘরে থাকা দামি ফার্নিচার, কাপড়-চোপড়সহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আক্তার মিয়া স্ত্রী সহ কয়েকজন নারী জানান, বেজুড়া গ্রামের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় কৃষক পাবেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মো. হামিদ মিয়া বাদি হয়ে বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে গ্রেপ্তার করলে অন্য আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই মামলার আসামিদের বাড়িতে এখন শুধু মহিলা ও শিশুরা বসবাস করেন। পুরুষরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন আসামিদের বাড়ির প্রবেশ করে তাদের গরু নিয়ে যাওয়াসহ বাড়ির নারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ করেন।
আক্তার মিয়ার স্ত্রীসহ কয়েকজন নারী জানান, রোববার গভীর রাতে হঠাৎ করে তাদের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারা কোনরকমে ঘর থেকে বের হয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করে। আগুনে তাদের খাবারের চালসহ সবকিছু পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেছে। তাদের বাড়ির নারীরা এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
তবে বাদি পক্ষের হেলাল মিয়া নামে একজন জানান, আসামি পক্ষের লোকজন হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আগুনের ঘটনা সাজিয়েছে।
মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, আগুনের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে কারা আগুন লাগিয়েছে এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।