সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি গ্যাসের লোডও নেই। যার কারণে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক-চালক ও যাত্রীরা।
এমন বাস্তবতায় সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে লোড বাড়ানো না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছে সর্বস্থরের সড়ক পরিবহণ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গ্যাসের লোড বাড়ানোর দাবীতে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বরাবরে স্মারকলিপি প্রধানকালে পরিবহণ শ্রমিক নেতারা এমন ঘোষণা দেন।
সিলেট জেলা বাস, মিনি বাস, কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং বি-১৪১৮, সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- ২১৫৯, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-৭০৭, সিলেট জেলা অটোরিক্সা-অটোটেম্পু শ্রমিক জোট- ২০৯৭, সিলেট জেলা ইমা, লেগুনা হিউম্যান হুলার শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-১৩২৬ এবং সিলেট বিভাগ ট্র্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-২১৭৪ এর সমন্বয়ে গঠিত সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই স্মারকলিপি প্রদান করে।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- প্রায় ৩০-৪০ হাজার মিনিবাস, পিকআপ, নোহা, কার, হাইয়েছ, সিএনজি, লেগুনা শ্রমিকদের গ্যাস সংকটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা, দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করে গ্যাস নিতে না পারা, গ্যাস নিতে অনিদ্রায় থাকার কারণে পরদিন গাড়ী চালাতে অসুবিধা হওয়া, দৈনন্দিন খরছ বহনে হিমসিম খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এ অবস্থায় পরিবহণ শ্রমিক নেতারা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে লোড বাড়ানোর দাবি জানান। অন্যতায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে সিলেট জেলার সকল সিএনজি পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্যাস, তেল নেওয়া বন্ধ সহ সর্বস্থরের সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালনের নির্দেশ দেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া, সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, সহ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া মবু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কার্যকরী সভাপতি রুনু মিয়া, ট্রাক শ্রমিক সমিতির সভাপতি দিলু মিয়া, ইমা-লেগুনার সভাপতি মঈন মিয়া প্রমুখ।
এছাড়াও স্মরকলিপি প্রদানকালে সিলেট জেলা বাস, মিনি বাস, কোচ মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা-অটোটেম্পু শ্রমিক জোট, ইমা, লেগুনা হিউম্যান হুলার, ট্র্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।